মাঝে মাঝে অকারণেই মন অস্থির হয়ে উঠে। আর শত খুঁজেও সেই অস্থিরতার যেমন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না তেমনই কিছুতেই সেই অস্থিরতা কমানোও যায় না।
 
 
তবে কিছু মানসিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিন্তু মনকে শান্ত রাখা যায়। এ প্রসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয়া, সমস্যা সমাধানের কৌশল রপ্ত করা, ব্যর্থতা মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকার মাধ্যমে মনকে অনেকটাই শান্ত রাখা যায়। আর মন শান্ত থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য হয়।’ যেকোনো পরিস্থিতিতে মনকে শান্ত রাখার কিছু কৌশল জানিয়েছেন ডা. হেলাল।

 

চলুন জেনে নেই ডা. হেলালের মনকে শান্ত রাখার কৌশল।

 
* মনকে শান্ত রাখতে কিন্তু শরীরের যত্ন নিতে হবে। নিয়মানুবর্তী জীবনযাপনের অভ্যাস করতে হবে। রাতে জেগে থাকা, দিনে ঘুমানো এ ধরনের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
 
* মনকে শান্ত রাখার একটি কৌশল হতে পারে ধ্যান। ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, প্রকৃতির কাছে যাওয়া ইত্যাদি মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
 
 
* আসলে মনকে শান্ত রাখতে হলে সামাজিক দক্ষতা ভালো থাকতে হবে। এই ক্ষেত্রে দুটো বিষয় রয়েছে। একটি হলো, কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। দুই, সমস্যা সমাধানের কৌশল রপ্ত করতে হবে। এই দুটো যখন একজন মানুষের মধ্যে থাকবে, তখন তিনি কোনো অস্থিরতায় ভুগবেন না এবং দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
 
 
* জীবনে কাজের লক্ষ্য স্থির করতে হবে। তাহলে নিজেকে শান্ত রাখা যাবে।
 
* ব্যর্থতা জীবনের অংশ। এটি মেনে নেয়ার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। ভাবতে হবে, সফলতার একটি ধাপ ব্যর্থতা। পরাজয় হলেও সেটি থেকে কীভাবে উঠে দাঁড়াতে হবে, সেটি শিখতে হবে।
 
* আমরা অনেক সময় ক্যারিয়ার, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এগুলোর দিকে তাকাতে গিয়ে পরিবার ও সমাজকে সময় দিতে পারি না; আনন্দ উপভোগ করতে পারি না। এটা অনেক সময় আত্মঘাতী হয়ে যায়। কিন্তু এটি না করে পরিবার ও নিজের কাছের মানুষদের সময় দিতে হবে। এটি উদ্বেগ কমিয়ে মনকে শান্ত রাখতে কাজে দেবে।
 
* ব্যক্তিগত জীবন বা কর্মক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নিজের সক্ষমতার জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আগে থেকেও ভাবতে হবে, বিপদে পড়লে কী করব। কোথা থেকে সাহায্য পাব? কোন সাহায্যটা সবার আগে নেব?